পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ সম্পর্কিত প্রতিবেদন
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি সবাই ভালো আছো। তোমরা কি নবম শ্রেণির ৭ম সপ্তাহের ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট এর সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে- পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ সম্পর্কিত প্রতিবেদন।
অ্যাসাইনমেন্ট : সৌরজগতের চিত্র অঙ্কন করে “পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ “অনধিক ১০০ শব্দের একটি প্রতিবেদন লেখ।
তারিখঃ ১৬ জুন, ২০২১
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক
বক্সগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়
নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা
বিষয়ঃ সৌরজগতের চিত্র অংকন পূর্বক “পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যর তুলনামূলক বিশ্লেষণ” সংক্রান্ত প্রতিবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার আদেশ নং ব.উ.বি.১৫/২১ তারিখ ১৪ জুন, ২০২১ ইং অনুসারে উপরোক্ত বিষয়ের উপর প্রতিবেদন নিম্নে পেশ করলাম।
অতএব, আপনার সদয় বিবেচনার জন্য পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ সম্পর্কিত প্রতিবেদনটি নিম্নে উপস্থাপন করলাম।
প্রতিবেদক
ইরফান
বখ্শগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়
নবম শ্রেণি, বিজ্ঞান শাখা, রোল: ০১
পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ
সৌরজগৎ হলো সূর্য ও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সূর্য প্রদক্ষিণকারী তথা পরস্পরের প্রতি অভিকর্ষজ টানে আবদ্ধ মহাজাগতিক বস্তুগুলিকে নিয়ে গড়া একটি ব্যবস্থা। আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কেন্দ্রস্থল থেকে ২৬,০০০আলোকবর্ষ দূরে কালপুরুষ বাহুতে এই গ্রহ ব্যবস্থাটি অবস্থিত। সৌরজগতে সূর্যকে ঘিরে ঘুরছে আটটি গ্রহ। এই আটটি গ্রহের মাঝেও পৃথিবী ও মঙ্গল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি গ্রহ। পৃথিবীর সূর্যের তৃতীয় নিকটতম গ্রহ। এর আয়তন ৫১০,১০০,৪২২বর্গ কিলোমিটার। পূর্ব-পশ্চিমে এর ব্যাস ১২,৭৫২কিলোমিটার এবং উত্তর-দক্ষিণে ১২,৭০৯ কিলোমিটার। সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব ১৫কোটি কিলোমিটার। পৃথিবী ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। এ গ্রহে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন রয়েছে। পৃথিবী পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা ১৩.৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস । ভূত্বকে প্রয়োজনীয় পানি রয়েছে। গ্রহ গুলোর মধ্যে একমাত্র পৃথিবীই জীবজন্তু ও উদ্ভিদের জীবনধারণের জন্য আদর্শ গ্রহ।
চন্দ্র পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। পৃথিবী থেকে চন্দ্রের দূরত্ব ৩,৮১,৫০০ কিলোমিটার। এটি ২৯ দিন ১২ ঘন্টায় পৃথিবীকে একবার পরিক্রমণ করে। চাঁদের পৃষ্ঠদেশে গর্ত, পাহাড় ও পর্বত লক্ষ্য করা গেছে। সূর্য থেকে দূরত্ব দিক দিয়ে পৃথিবীর পরে মঙ্গলের স্থান। সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব ২২.৮কোটি কিলোমিটার এবং পৃথিবী থেকে ৭.৮ কিলোমিটার। মঙ্গল গ্রহের ব্যাস ৬,৭৭৯ কিলোমিটার এবং ওজন পৃথিবীর প্রায় দশ ভাগের এক ভাগ। এর আয়তন ১৪৪,৭৯৮,৫০০ বর্গ কিলোমিটার। সূর্যকে পরিক্রমণ করতে মঙ্গল গ্রহের লাগে ৬৮৭ দিন এবং নিজ অক্ষে একবার আবর্তন করতে সময় লাগে ২৪ ঘন্টা ৩৭ মিনিট।
মঙ্গলের দুটি উপগ্রহ আছে ডেমোস ও ফেবোস। এখানে জীবনধারণ অসম্ভব। বায়ুমন্ডলে শতকরা ৩ ভাগ নাইট্রোজেন এর শতকরা গ্যাস আছে। পানির পরিমাণ খুবই কম। পৃথিবীর তুলনায় মঙ্গল অনেক ঠান্ডা, গড় উত্তাপ হিমাঙ্কের অনেক নিচে। মঙ্গল গ্রহের উপরিভাগে গিরিখাত ও আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এ গ্রহের পাথর গুলোতে মরিচা পড়েছে। ফলে গ্রহটি লাগছে বর্ণ ধারণ করেছে।
মঙ্গল ও পৃথিবী গ্রহের বৈশিষ্ট্যের পার্থক্যঃ
অন্য গ্রহ গুলির তুলনায় মঙ্গলের সঙ্গে পৃথিবীর বেশ কিছু মিল আছে। এটির বায়ুমণ্ডল আছে এবং এর তাপমাত্রা খুব গরম নয়। মঙ্গলের মেরুতে রাতে ১২৮০ সেলসিয়াস থেকে বিষুবরেখায় দিনে ১৭০ সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। মঙ্গলের একদিন প্রায় আমাদের এক দিনের মতো। পৃথিবীর মতোই মঙ্গলেও নানা ঋতু আছে। কারণ এটি অক্ষ রেখার উপর আবর্তন করে। তদুপরি, মঙ্গলে পানি আছে। যদিও তার বেশির ভাগটাই মাটির তলায় অথবা মেরু অঞ্চলের বরফ হয়ে আছে। বহু বহু বছর আগে বয়ে যাওয়া পানি গভীর উপত্যকা ও বহু পাহাড় তৈরি করেছে, বেশ কিছু পদার্থও তৈরি হয়ে আছে বহু লক্ষ বছর আগে। এজন্য মঙ্গল সৌর ব্যবস্থা সম্পর্কে চর্চা করার একটি আদর্শ স্থানে পরিণত হয়েছে।
উভয় গ্রহেরই কোরের চারপাশে একটি সিলিকেট আবরণ রয়েছে এবং শক্ত পদার্থের উপরিভাগের ক্রাস্ট থাকে। পৃথিবীর আচ্ছাদন সামান্য চন্দ্র পদার্থের একটি উপরের আবরণ এবং নিবিড় ম্যানটেল সমন্বিত। এটি প্রায় ২,৮৯০মিটার (১,৭৯০ মাইল)পুরু এবং লোহা এবং ভূত্ত্বকটি গড়ে ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল) পুরো এবং এটি শৈল গুলির সমন্বয়ে গঠিত যা লোহা এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এবং গ্রেনাইট (সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং এলুমিনিয়াম সমৃদ্ধ) রয়েছে। বর্তমানে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল খুবই পাতলা। একসময় তা আমাদের গ্রহের মতো ছিল। তাই বলা যায়, মঙ্গল গ্রহ এবং পৃথিবী গ্রহের বেশ কিছু পার্থক্য থাকলেও বেশ কিছু মিল রয়েছে। যার কারণে এ গ্রহটি মানুষের বসবাস উপযোগী হতে পারে। মঙ্গলকে কখনো কখনো লাল গ্রহ বলা হয় কারণ এর পৃষ্ঠ লাল রঙের ও ধূলিময় এবং এর খুব পাতলা বায়ুমণ্ডল রয়েছে। মঙ্গলের মাটির নিচে পানি থাকার সম্ভাবনা আছে বলে বিজ্ঞানীরা এখন মনে করে। আর পৃথিবীতে জীবনের জন্য যে বেঁচে থাকার উপকরণগুলো সেগুলো মঙ্গলের পরিবেশ রয়েছে।
প্রতিবেদকের নাম : ইরফান
প্রতিবেদনের ধরন : প্রাতিষ্ঠানিক
প্রতিবেদনের শিরোনাম : পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ সম্পর্কিত প্রতিবেদন
প্রতিবেদন তৈরির স্থান : বখ্শগঞ্জ
তারিখ : ১৬.০৬.২০২১ ইং
এই ছিল তোমাদের নবম শ্রেণির ৭ম সপ্তাহের ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্টের উত্তর-
পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ সম্পর্কিত প্রতিবেদন।
আরো দেখুন-
প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এবং বাংলা নোটিশ ডটকমের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্ট ডাউনলোড করার জন্য BanglaNotice.com, SoftDows.com এবং dshe.gov.bd এর ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। সেইসাথে এসাইনমেন্ট সংক্রান্ত সকল আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য বাংলার নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন।